এবার বাংলাদেশের উত্তরের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে পেপিনোমেলন নামের একটি ওষুধি ফল। ছাদ বাগানে চাষ করার নিয়ম ভেঙে এই ফল মাঠে লাগানো হয়েছে। সফলতার সাথে এই ফল উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রংপুরের মিঠাপুকুরের চাষি সেলিম মিয়া। তিনি বিভিন্ন দেশের আরও কয়েকটি ফল-ফলাদির চাষ করছেন ।
শতবছর আগে যে গ্রাম থেকে নারীর অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল, বেগম রোকেয়ার সেই পায়রাবন্দ থেকেই আরেকটি বিপ্লবের সূচনা।
এই ফলটা দেখতে অনেকটাই বেগুনের মতো। দক্ষিণ আমেরিকার ফল পেপিনোমেলন মানিয়ে নিয়েছে বাংলার পানি, হাওয়ায়। শখের বসে বিদেশ থেকে একটি চারাগাছ এনে বাণিজ্যিকভাবে এই ফলের চাষ করছেন রংপুরে উদ্যোক্তা সেলিম।
সেলিম মিয়া এই ফল সম্পর্কে জানান, আবহাওয়া উপযোগী, সাথে কাঙ্ক্ষিত দাম হওয়ায় নতুন জাতের এই পেপিনোমেলন ফলের চাষ অনেকেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।
পেপিনোমেলন দেশের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে খামারবাড়ি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, পেপিনোমেলন ছাড়াও বিদেশি ডুমুর, খেজুর, এপ্রিকট, পিচফলসহ নানা প্রজাতির ফল চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন সেলিম। ফল চাষে তাই নতুন স্বপ্ন দেখছে রংপুর কৃষি বিভাগ।
সেলিম মিয়ার মত কৃষি উদ্যোক্তাদের হাত ধরে খাদ্য নিরাপত্তায় আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে উত্তরের কৃষি, গতিশীল হবে অর্থনীতির চাকা।
আরও পড়ুনঃ তেজপাতার চাষ কতটা লাভজনক ব্যবসা জেনে নিন বিস্তারিত !
Comments are closed.